‘নির্বাচন পেছানোর আর কোনো সুযোগ নেই’
আগে সুযোগ ছিল, এখন আর নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) নেত্রকোণায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন ইসি আলমগীর।
ইসি আলমগীর বলেন, সেনাবাহিনী নিয়োগের এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। অতীতে জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। এবারও সেনাবাহিনী নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, বিদেশিরা আমাদের বন্ধু। তাদের সঙ্গে আমাদের নানা রকম অর্থনৈতিক এবং আঞ্চলিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে বিদেশিদের সব পরামর্শ আমরা নিই না। যে পরামর্শ আমাদের জন্য ভালো, তা বিবেচনা করতে পারি। তাদের দাবি অনুযায়ী আমরা সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন করতে চাই। আমরা সবার কাছে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে চাই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইউএনও এবং ওসিদের কাছাকাছি স্থানে বদলির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাতে দ্রুত তারা স্থানান্তর হতে পারেন। গণমাধ্যমকর্মীরা কেন্দ্রের ভেতর সর্বোচ্চ ১০ মিনিট অবস্থান করতে পারবেন। কক্ষের বাইরে থেকে লাইভ সম্প্রচার করা যাবে। সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা নেই।
তিনি বলেন, কেন্দ্রে যাতে প্রত্যেক প্রার্থীর এজেন্ট থাকে সেজন্য বলা হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষে নিজ নিজ কেন্দ্রে সবার সামনে ফলাফল ঘোষণা করতে বলা হয়েছে।
এর আগে সোমবার বিকেল ৩টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নেত্রকোণা জেলা রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মো. শাহেদ পারভেজের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাই মতামত দেন।